Computer Common Problem and troubleshooting part2

হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্ট সমস্যা :
এই সমস্যাটি হলে উইন্ডোজের শুরুতেই হয়৷ সাধারণত একাধিক হার্ডওয়্যার একই আইআরকিউ (IRQ) বা রিসোর্স ব্যবহার করলে এ ধরনের সমস্যা হতে পারে৷ তবে একই আইকিউ ব্যবহার করলেই এমন সমস্যা অনিবার্য নয়৷ সাধারণ কোনো ডিভাইসের সমস্যার কারণে সেটি অন্য ডিভাইসকে কিছুটা প্রভাবিত করায় এই সমস্যা দেখা দেয়৷ কিংবা কোনো হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার সফটওয়্যারটি পুরোপুরি আনইনস্টল না করে সেই হার্ডওয়্যারটি অপসারণ করে সেই স্লটে নতুন হার্ডওয়্যার স্থাপন৷ কিংবা ভিন্ন স্লটে স্থাপিত দুটি হার্ডওয়্যারের ড্রাইভার ইনস্টলের সময় তাদেরকে একই স্লট লোকেট করে দেয়ার জন্য অথবা প্রিন্টার সংযোগ একপোর্টে আর প্রিন্টারের ড্রাইভার অন্য পোর্টে ইন্সটল করলে হার্ডওয়্যার কনফ্লিক্ট হতে পারে৷ এজন্য হার্ডওয়্যার সংযোগ ব্যবস্থা খেয়াল করে সেই অনুযায়ী ড্রাইভার লোড করা উচিত৷ অবশ্য বর্তমানে Plug & Play হার্ডওয়্যারগুলোতে এই সমস্যা বিরল৷

পিসির তাপমাত্রা বেড়ে গেলে :
অনেকক্ষণ সিডি ড্রাইভে সিডি রান করলে পিসি উত্তপ্ত হতে পারে৷ সাধারণত টানা ২-৩ ঘন্টা হার্ডডিস্ক চললে তা এমনিতেই উত্তপ্ত হয়৷ মনিটর আধা ঘন্টায় প্রচুর উত্তপ্ত হয়৷ এগুলো সাধারণ ঘটনা৷ এজন্য একই রুূমে অনেক পিসি চললে রুমটি এয়ার কন্ডিশড হওয়া বাঞ্চনীয়৷ এ ব্যাতিরেকেও যদি পিসি'র কোনো একটি ডিভাইস অস্বাভাবিক উত্তপ্ত হয় তাহলে বুঝতে হবে সেটিতে বিশেষ সমস্যা আছে৷ সেটি বদলে ফেলুন অথবা কম্পিউটার প্রফেশনালের সাহায্য নিন৷ অনেকেই পুরাতন পিসিতে প্রসেসরের কুলিং ফ্যানটি পরিবর্তন করে বড় এবং নতুন ফ্যান লাগিয়ে থাকেন৷ বিষয়টি মন্দ নয়৷



উইন্ডোজ ৯৮-এ পেনড্রাইভ চালাতে সমস্যা :
সাধারণ মাদার বোর্ডের সাথে সংযুক্ত ইউএসবি পোর্টগুলোর ড্রাইভার উইন্ডোজ ৯৮-এ লোড হয় না বা আমরা মাদার বোর্ডের এজিপি ও সাউন্ড ছাড়া অন্য কোনো ডিভাইস লোড করি না৷ এজন্য ইউএসবি প্রিন্টার, স্ক্যানার ও পেন ড্রাইভ অটো ডিটেক্ট করে না৷ এ সমস্যা সমাধানের জন্য উইন্ডোজ ৯৮ লোড করার সাথে সাথে মাদারবোর্ডের সিডি হতে ইউএসবি পোর্টও লোড করে দিতে হবে৷
  
সাউন্ড নিয়ে সমস্যা :

প্রথমে ডিভাইস ম্যানেজার থেকে নিশ্চিতভাবে সাউন্ড কার্ডের জন্য কোনো ড্রাইভার লোড করা আছে কি-না ? যদি সঠিক ড্রাইভার লোড করা থাকে তবে সাউন্ড আসার কথা৷ এ ক্ষেত্রে Control panel-এর Sound & Multimedia option হতে audio-তে গিয়ে দেখুন Volume mute করা কি-না৷ থাকলে তা উঠিয়ে দিন৷ এতেও যদি সাউন্ড না আসে তবে ড্রাইভার ভার্সনটি সঠিক নয়৷ কিংবা সাউন্ড কার্ড নষ্ট৷ এক্ষেত্রে সঠিক ড্রাইভার লোড করুন কিংবা সাউন্ড কার্ড পরিবর্তন করুন৷ কিন্তু আপনি যদি নিশ্চিত হন যে, ড্রাইভার ভার্সন এবং সাউন্ড কার্ড ঠিকই আছে সেক্ষেত্রে মাদাবোর্ডে ভিন্ন স্লটে সাউন্ড কার্ডটি সংযোগ করে দেখতে পারেন৷ এরপর দেখুন সাউন্ড কার্ডের সঠিক পোর্টে স্পিকার লাগানো আছে কি-না৷ আজকাল বেশিরভাগ মাদারবোর্ডেই সাউন্ড বিল্টইন থাকে৷ অনেকে ভালো

পারফরমেন্সের জন্য পিসিআই স্লটে উন্নত সাউন্ডকার্ড লাগিয়ে নেন৷ এতে লক্ষ রাখতে হবে মাদারবোর্ড কোনটি ব্যবহারের অপশন নির্বাচন করা হয়েছে৷ উইন্ডোজ ২০০৩ সার্ভারে বাই ডিফল্ট সাউন্ড অফ থাকে৷ শুরুতেই তা চালু করে নেয়া যেতে পারে৷ এজন্য কন্ট্রোল প্যানেল থেকে সাউন্ড অপশনটি সিলেক্ট করুন৷

অনেক গেইমই আপনার গ্রাফিক্স কার্ডকে সমর্থন করে না :
গ্রাফিক্স কার্ড কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো কোনো গেম চালাতে দেয় না৷ এক্ষেত্রে যে সমস্যাটি হয় তাহলো গ্রাফিক্স কার্ডের কালার সেটিং ও স্ক্রিন রেজুলেশন-এর সঙ্গে গেম-এর সেটিং খাপ খায় না৷ এক্ষেত্রে তা পরিবর্তন করে দেখতে পারেন৷ DirectX লোডিং এর মাধ্যমে DirectX Supported গেম খেলতে পারেন৷ কিন্তু আপনার গেমটি থ্রিডি হয় এবং আপনার গ্রাফিক্স কার্ড থ্রি ডি সাপোর্ট না করে সেক্ষেত্রে আপনি গেমসটি খেলতে পারবেন না৷ এখন বাজারে মোটামুটি সব গ্রাফিক্স কার্ডই থ্রি ডি সাপোর্টেড৷

হার্ডডিস্ক যখন ক্ষতিগ্রস্থ :

হার্ডডিস্কে সাধারণত দুই ধরনের বেড সেক্টর পড়তে পারে৷ একটি Logical bad sector অন্যটি Physical bad sector৷ যদি হার্ড ডিক্স রীতিমতো স্ক্যান ও ডিফ্রাগমেনিক করা না হয় তবে হার্ডডিস্কের সিলিন্ডারের সেক্টর সমূহ পরস্পরের মধ্যকার লিংক হারিয়ে ফেলে৷ এতে করে ডাটা উদ্ধার অত্যনত্ম জটিল হয়ে পড়ে এবং ডাটা সেন্ডিং স্পিড কমে যায়- এক কথায় বলতে গেলে সেক্টর এড্রেসগুলো এলোমেলো হয়ে যায়৷ এ অবস্থাকে বলে Fragmentation৷ এ অবস্থায় আরো বেশি দিন চললে হার্ডডিস্কে লজিক্যাল ব্যাড সেক্টর পড়তে পারে এমনকি Hard disk Crash ও করতে পারে৷ নিয়মিত Scandisk, defragmenter চালানোর মাধ্যমে হার্ডডিস্ককে logical bad sector হতে রক্ষা করা যায়৷ এমনকি logical bad sector পড়লে Hard disk-এর ঐ ড্রাইভকে ফরম্যাট করলে logical bad sector দুর হবে৷ আর চলতে চলতে হঠাত্‍ বন্ধ বা পাওয়ার অফ হলে Read write head টি হঠাত্‍ ঘূর্ণায়মান সিলিন্ডারে উপর পড়ে ডিস্ক এ স্ক্যাচ ফেলতে পারে কিংবা অতিরিক্ত নাড়া চাড়া কিংবা পরিবহনের সময় ঝাঁকুনি হার্ডডিস্কের সিলিন্ডার আঘাতপ্রাপ্ত হতে পারে বা হার্ডডিক্স পড়ে গেলে সিলিন্ডার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷ এভাবে সিলিন্ডারে ফিজিক্যালি বেড সেক্টর পড়তে পারে৷ হার্ডডিস্ক কে সাবধানে হ্যান্ডেলিং করার মাধ্যমে একমাত্র

এটিকে রোধ করা সম্ভব৷ অসাবধানতা বশত যদি বেড সেক্টর পড়েই যায় তাহলে তা কোন অংশে পড়েছে স্ক্যানডিস্কের মাধ্যমে অনুমান সেই অংশটুকু করে Partition magic সফটওয়্যারের মাধ্যমে সেই অংশটুকু unallocated রেখে বাকি অংশ পার্টিশন করুন৷ তবে ঐ অংশে Bad sector আর বাড়বে না ও বিরক্তও করবে না৷

ক্রাশড্ হার্ডডিস্ক থেকে ডাটা পুনরুদ্ধার :
সাধারণ হার্ডডিস্ক ক্র্যাশ করলে ডাটা উদ্ধার সম্ভব হয় না৷ তার উপর হার্ডডিস্কে না বুঝে কোনো অপারেশন চালালে তা আরও ক্ষতির কারণ হতে পারে৷ এজন্য কোনো প্রফেশনালের সাহায্য নেয়াই ভালো৷ তারপরও যদি কিছু উদ্ধার করা যায় তাতে মন্দ কি ? তবে খেয়াল রাখবেন ক্রাস হওয়া হার্ডডিস্ক ভুলেও ফরমেট/পার্টিশন এর চেষ্টা করবেন না৷ যদি ডাটা উদ্ধার করতে চান৷ দু'ভাবে হার্ডডিস্ক ক্রাস করতে পারে একটি সিলিন্ডার ক্র্যাস, অন্যটি সার্কিট ক্র্যাশ৷ যদি সিলিন্ডার ক্রাস করে তবে বুঝতে হবে এর মাস্টার বুট রেকর্ড এ কোনো সমস্যা আছে তা ঠিক করতে হবে৷ মাস্টার বুট রেকর্ড নিয়ে ফিচারের পরবর্তী অংশে আলোচনা রয়েছে৷ কিন্তু সার্কিট ক্রাস করলে সমমানের অন্য নষ্ট হার্ডডিস্ক থেকে একই সিরিয়াল সার্কিট খুঁজে বের করে তা রিপ্লেসের মাধ্যমে হার্ডডিস্কের সার্কিট ক্রাস রিপেয়ার সম্ভব৷ কিছু সফটওয়্যার যেমন Easy recovery pro একাজে সাহায্য করতে পারে৷

প্রিন্টার যখন ইউএসবি পোর্টের :
আমরা ফিচারের শুরুতে আলোচনা করেছি যে, ইউএসবি পোর্টে কোনো ডিভাইস সংযুক্ত করতে হলে মাদারবোর্ডের ড্রাইভার সিডি হতে ইউএসবি পোর্টে ইন্সটল করতে হবে৷ এরপর প্রিন্টারটি ইনস্টলের সময় পোর্ট হিসেবে ইউএসবি virtual printer port চিনিয়ে দিতে হবে৷
প্রিন্ট হচ্ছে কিন্তু কালি ঠিকমতো আসছে না :
যদি আপনার কার্টিজ বা টোনারটি অনেক দিনের পুরাতন হয়, তবে কালি শেষ হয়ে গিয়েছে অথবা শুকিয়ে গিয়েছে৷ এক্ষেত্রে তা পরিবর্তন করুন৷ আর যদি তা নতুন হয়ে থাকে তবে প্রিন্টারের প্রিন্টিং হেডে ময়লা জমেছে, এক্ষেত্রে আপনি কন্ট্রোল প্যানেলে প্রিন্টারে প্রবেশ করে আপনার প্রিন্টারটি সিলেক্ট করুন এবং তার প্রোপ্রারটিজ হতে maintenance ট্যাবে গিয়ে ক্লিনিং অপারেশনগুলো সম্পন্ন করুন৷ এজন্য প্রিন্টার কিছু ডিফল্ট মেইনটেনেন্স পেজ প্রিন্টিং করবে৷ তাই প্রিন্টারে কাগজ দিন৷

নেটওয়ার্ক ব্রাউজিং এ বাধ সাধছে ফায়ারওয়াল ও এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার :

অতিরিক্ত ফায়ারওয়াল ও এন্টিভাইরাসের নিরাপত্তার কারণে অনেক সময় নেটওয়ার্ক ব্রাউজিং দুরূহ হয়ে পড়ে৷ যেমন অন্য কম্পিউটারের শেয়ার পাওয়া যায় না, প্রিন্টিং করা যায় না?, ইন্টারনেট ব্রাউজিং-এ অতিরিক্ত সিকিউরিটি এলার্ট আসে৷ কোনো কোনো পেজ ওপেনই হয় না৷ এক্ষেত্রে ফায়ারওয়ালের কনফিগারেশন ডিফল্ট ভাবে হাই, মিডিয়াম বা লো যাই থাকুক না কেন তার কোনোটাই সিলেক্ট না করে বুঝে শুনে নিজের প্রয়োজন মতো কাস্টমাইজ কনফিগার করলে এ সমস্যা হতে রেহাই পাওয়া যাবে৷

কম্পিউটার ব্যবহারে হোন সচেতন৷ ব্যবহার করুন কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়্যার :
ধরুন আপনার কম্পিউটারে রেমটি ঠিকমতো কাজ করছে কি-না কিংবা হার্ডডিস্ক ঠিক আছে কি-না এ ব্যাপারে নিশ্চিত হবেন কি করে ? :
Tuffest pro নামক সফটওয়্যারটি ব্যবহার করুন৷ সফটওয়্যারের মাধ্যমে একটি বুট ফ্লপিতৈরি করে মেশিন বুটিং এর মাধ্যমে আপনি সহজেই আপনার কম্পিউটারের র্যাম, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি ডিভাইস পরীক্ষা করতে পারবেন৷
ধরুন আপনার হার্ডডিস্কের মাস্টার বুট রেকর্ডটি নষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ একে কি করে রিলোড করবেন ?:
এক্ষেত্রে যে বিষয়টি লক্ষণীয় এমবিআর সমস্যা হলে কোনোভাবেই হার্ডডিস্কের অন্যান্য পার্টিশন রিড করা যাবে না৷ fdisk/ Partition  magic সফটওয়্যার এক্ষেত্রে কোনো উপকার দিবে না৷ এক্ষেত্রে আপনার বন্ধু হলো উইন্ডোজ ২০০০-এর Bootable CD৷ সিডিটি রান করুন- এক পর্যায়ে সে আপনার হার্ডডিস্কটি শো করবে৷ তখন Existing সমস্ত Partition মুছে F3 দিয়ে বের হোন এবং উইন্ডোজ ২০০০-এ বুট সিডিটি বের করে আনুন৷ এবার উইন্ডোজ ৯৮-এর Bootable CD টি প্রবেশ করিয়ে A:> প্রম্পট বুট করুন৷ A:> প্রম্পট পেলে সেখানে নিম্নোক্ত কমান্ডটি লিখুন fdisk./mbr৷ ব্যাস, আপনার হার্ডডিস্ক হতে নতুন করে mbr লোড হবে৷ এবার নতুন করে মনের মতো পার্টিশন করে নিন৷
'কিছুদিন পরপর পিসি স্লো হয়ে যায়' :
হঁ্যা, পিসি স্লো হবার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ সঠিকভাবে ব্যবহার না করা৷ পিসি'র গতি এর হার্ডওয়্যার কনফিগারেশনের ওপর যেমন নির্ভর করে, তেমনি এর সফটওয়্যার কনফিগারেশনও মেনটেন্সেও প্রভাবিত করে এর গতিকে৷ পিসি'র পারফরমেন্স অপারেটিং সিস্টেমের ওপরেও নির্ভরশীল৷ সাধারণত দেখা যায়, নতুন উইন্ডোজ ইন্সটল করার পরে পিসি'র গতি সর্বোচ্চ থাকে৷ এরপর ধীরে ধীরে গতি অপেক্ষাকৃত শ্লো হয়ে যায়৷ এর কারণ প্রয়োজনের বেশি সফটওয়্যার ইন্সটল করা৷ প্রয়োজন না হলে বেশি সফটওয়্যার ইন্সটল করে মেমোরির ওপর চাপ বাড়ানো নিষপ্রয়োজন৷ অনেক সফটওয়্যার আছে যেগুলো সরাসরি সামনাসামনি না চললেও নেপথ্যে বিভিন্ন সার্ভিস চালু করে রাখে৷ এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন ডাটা বেইজ সার্ভার, এন্টিভাইরাস প্রোগ্রাম ইত্যাদির কথা বলা যেতে পারে৷ এগুলো পিসি'র গতিকে অনেকাংশে ধীর করে দেয়৷
নিয়মিত মেনটেইন্সের জন্য নিচের পদক্ষেপগুলোনিন



=> প্রতিদিন একবার স্ক্যান ডিস্ক চালান এবং সপ্তাহে একবার ডিস্ক ডিফ্রাগমেন্ট করুন৷ যে ড্রাইভে উইন্ডোজ ইনস্টল করছেন তার আকার কমপক্ষে ৩ গিগাবাইট রাখুন এটি শুধু সিস্টেম বুট ড্রাইভ হিসেবে কাজ করবে৷
=> উইন্ডোজ ব্যাতীত কোনো সফটওয়্যার, ব্যাকআপ, গেম, গান ইত্যাদি সিস্টেম ড্রাইভে না রাখাই ভালো৷ অনেকেই ওয়ালপেপার আইকন ইত্যাদির ব্যাপারে বেশ সৌখিন৷ ওয়ালপেপার ঘন ঘন পরিবর্তনের জন্য সফটওয়্যার ব্যবহার করে থাকেন অনেকে৷ এগুলো পিসির গতিকে প্রভাবিত করে৷ ডেস্কটপে বেশি আইকন না রাখাই ভালো৷

=> সিস্টেম ড্রাইভে সফটওয়্যার ইন্সটল না করে অন্য একটি ড্রাইভে করুন এতে পিসির গতি ভালো থাকবে৷ এজন্য একটি পৃথক ড্রাইভতৈরি করে নিতে পারেন৷
=> উইন ২০০০/এক্সপি-এর জন্য কিছুদিন পরপর অপ্রয়োজনীয় ইউজার প্রোফাইল মুছে দিন৷ এজন্য কন্ট্রোল প্যানেল থেকে সিস্টেমে গিয়ে উইন্ডোজ ২০০০ এর প্রোপাইল ট্যাব ও উইন এক্সপি এর জন্য এডভান্স ট্যাব হতে ইউজার প্রোপাইলে গিয়ে ইউজারটি সিলেক্ট করে মুছে দিন৷ তার আগে মাই ডকুমেন্টে ও ডেস্কটপ হতে প্রয়োজনীয় ফাইল অন্যত্র সরিয়ে ব্যাকআপ করুন৷
=> বায়োস ও বুট প্রোপ্রাটিজ-এ সিস্টেম ড্রাইভকে সব সময় প্রথমে রাখুন৷ যে-কোনো সফটওয়্যারের আপডেট ও ফুল ভার্সন ব্যবহার করুন৷ কোনো ক্রমেই বেটা ভার্সন ব্যবহার করবেন না৷ সফটওয়ারের ক্র্যাক ভার্সন অনলাইনে বিভিন্ন ক্র্যাক সাইট হতে ডাউন লোড করতে পারবেন৷ নতুবা অরিজিনাল রেজিস্টার্ড ভার্সন ব্যবহার করতে হবে৷ নিয়মিত উইন্ডোজ আপডেট করুন৷ উইন্ডোজের সার্ভিস রেক ব্যবহার করুন৷
=> যারা বাসায় ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন তাদের অবশ্যই এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত৷ সফটওয়্যারটি কোন ভার্সন তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো এর ভাইরাস ডেফিনেশন ফাইলটি আপটুডেট কিনা৷ ইন্টারনেট থেকে নিয়মিত আপডেট ডাউনলোড করুন৷ ইন্টারনেট ব্যবহারে সংযত হওয়া উচিত৷ অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার একদিকে যেমন সময়ের অপচয় তেমনি অন্যদিকে কম্পিউটারের জন্যও ক্ষতিকর হতে পারে৷ সাধারণত পর্নো সাইটগুলো ভাইরাসের আখড়া যা শুধু আপনার কম্পিউটারেই নয়, নেটওয়ার্কের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়ে পুরো সিস্টেমকেই বিকল করে দিতে পারে৷
পিসি মেইনটেনেন্স ও ভাইরাস প্রোটেকশনের জন্য অনেক সফটওয়্যার রয়েছে৷ তবে নাম না জানা সফটওয়্যার ব্যবহার না করাই ভালো৷ কেননা মেইনটেনেন্স সফটওয়্যারগুলো সিস্টেম লেভেলে কাজ করে৷ কাজেই উন্নতমানের সফটওয়্যার না হলে তা ভালোর চেয়ে খারাপই করতে পারে৷ নর্টনের এন্টিভাইরাস ও পিসি মেইনটেনেন্স সফটওয়্যারগুলোর খ্যাতি একাজে সুবিদিত৷
=> বৈদু্যতিক সমস্যা : বৈদু্যতিক সমস্যা অনেক সময় কম্পিউটারের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ হঠাত্‍ ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশন হার্ডডিস্কে ব্যাড সেক্টরের কারণ হতে পারে৷ ভোল্টেজ আপডাউনের সমস্যা থাকলে অবশ্যই ইউপিএস ব্যবহার করুন৷
> হারিয়ে যাওয়া ডাটা পুনরায় ইজি রিকভারি সফটওয়্যারটি ব্যবহার করুন৷
> এন্টিভাইরাস হিসেবে ম্যাকফি, নরটন কিংবা পিসিসিলন ব্যবহার করুন৷
> ফায়ারওয়াল হিসেবে ম্যাকাফি, নরটন কিংবা সিগেট ব্যবহার করতে পারেন৷
> ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের জন্য Flash Player 7, Acrobat, ACDsee, Microsoft word, Excel, real player, avi code সফটওয়্যারগুলো ইনস্টল করুন৷
> Taskbar, System tray ও Startup-এ যতটুকু সম্ভব কম সফটয়্যার রাখুন৷
Share on Google Plus
    Blogger Comment
    Facebook Comment

0 comments:

Post a Comment