কম্পিউটারে সমস্যা সত্যিকার অর্থে দুই ধরনের- প্রথমটি হলো নতুন ইউজারদের জন্য এবং দ্বিতীয়টি হলো কম্পিউটারের নিজস্ব৷ প্রথম বিষয়টির জন্য উপদেশ হলো প্রথমেই ভয় পাবেন না৷ ধারনা করুন কি ধরনের সমস্যা হতে পারে ? বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কম্পিউটার চালানোতে অদক্ষতাই মূল সমস্যা৷ কিভাবে কম্পিউটার চলে? এর হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা নেয়ার চেষ্টা করুন তাহলেই দেখবেন ছোটখাট অধিকাংশ সমস্যার সমাধান আপনি নিজেই করতে পারছেন৷
দ্বিতীয় বিষয়টি হলো কম্পিউটারের নিজস্ব সমস্যা৷ এর মধ্যে রয়েছে-
=> হার্ডওয়্যার সেটিং সমস্যা
=> হার্ডওয়্যার কনফিগার করার সমস্যা
=> হার্ডওয়্যার ডিটেক্ট সমস্যা
=> বায়োস সেটিং সমস্যা
=> কম্পিউটারের বুট সমস্যা
=> সফটওয়ার ইন্সটল সমস্যা
=> সফটওয়্যার সাপোর্ট ও আপডেট সমস্যা
=> তৃতীয় পক্ষের আক্রমণ তথা ভাইরাস ও সিকিউরিটি সমস্যা৷
=> হার্ডওয়্যার নষ্ট হয়ে যওয়াকৃত সমস্যা৷
এ ধরনের কিছু সমস্যা ও তার সমাধান নিয়ে এখানে আলোচনা করা হলো-
নতুন ইউজারদের জন্য কিছু সতর্কতাঃ
ডাটাকে ব্যাকআপরাখা
নিয়মিত ডাটাকে ব্যাকআপ রাখলে কোনো সমস্যায় নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন৷ ব্যাকআপ মানে হলো ডাটাকে অন্যকোথাও সেভ করে রাখা যার ফলে যে ফাইলটিতে আপনি কাজ করছেন তা মুছে গেলে, কোনোভাবে নষ্ট হলে অন্যত্র সেভকরে রাখা কপিটি আবার পুনরুদ্ধার করে কাজ করতে পারবেন৷ উইন্ডোজের নিজস্ব ব্যাকআপ টুলস রয়েছে যেটা ইন্সটল করে নিতে পারেন এ্যাড রিমুভ প্রোগামস, উইন্ডোজ সেটআপ, সিস্টেম টুলস থেকে ডিটেইলসে ক্লিক করুন৷ এবার ব্যাকআপ অন করে ওকে করলে সফটওয়্যারটি ইন্সটল হবে৷ ইন্সটল হওয়ার পর ব্যাকআপ টুলসটি পাবেন স্টার্মমেনু্যর প্রোগ্রামস>এক্সেসরিজ>সিস্টেম টুলসের ভেতর৷ এটির হেল্পে ডিটেইলস বলা আছে কিভাবে ধাপে ধাপে ব্যাকআপ করা যায়, এবং এটা বেশ সহজ৷ এটি দিয়ে ব্যাকআপ করাছাড়াও ম্যানুয়ালী যে ফাইলটিতে বর্তমানে কাজ করছেন সেটি অন্যত্র ফ্লপি বা হার্ডডিস্কের অন্য জায়গাও ডুপ্লিকেট কপি রাখতে পারেন যেটি পারেন দারুণ সাহায্য করবে মূল ফাইল করাপ্ট হলে৷
কম্পিউটারকেপরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন
আমাদের দেশে ধুলাবালি একটু বেশি যে কারণে কম্পিউটারকে কাজ শেষেমনিটর, সিপিইউ ঠান্ডা হওয়ার পর শুকনো কোনো কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা ভালো৷ গরম অবস্থায় মনিটর বা সিপিইউ ঢাকা উচিত নয়৷ বেশি ধুলা যাতে কম্পিউটারে ঢোকার সুযোগ না পায় সেজন্য বাইরের জানালার পাশে মনিটর রাখা উচিত নয়৷ কোনো মতেই কম্পিউটার যেন আদ#2509;রতা প্রবেশনা করতে পারে সেটাও নিশ্চিত করুন৷ এক মাস অন্তর অন্তর কী- বোর্ড, মাউস ইত্যাদি পরিষ্কার করতে পারেন৷ অন্যথায় অবশ্যই কেসিং খুলতে যাবেন না৷ ময়লা পরিষ্কার করতে কোনো ধরনের কেমিক্যাল ব্যবহার করবেন না৷ শুকনো কাপড় ব্যবহার করুন৷ অথবা সামান্য ভিজিয়ে পুরো পানি নিংড়ে তারপর কী-বোর্ড বা মনিটরের কাভার পরিষ্কার করতে পারেন৷ কখনোই মনিটরের স্ক্রিনে পানি বা অন্যকোনো তরল লাগাতে যাবে না৷ এটি পরোক্ষভাবে সেটাকে ক্ষতি করে৷ আঙ্গুলের দাগ লাগলে শুকনো কাপড় দিয়ে মুছতে পারেন৷
পাওয়ার সাপ্লাইটি সম্পর্কে সচেতন থাকুন
হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারের যত্ন অনেক নিলেও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়অনেক সময় আমাদের চোখ এড়িয়ে যায় যেটার কারণে অনেক সময়েই আমাদের ভোগান্তি পোহাতে হয়৷ পাওয়ার সাপ্লাইটি ভালো হওয়া খুব জরুরী৷ আমাদের দেশে অনেক এলাকায়ই বিদু্যত্ খুব বেশি উঠানামা করে যেটি কম্পিউটারের জন্যখুবই ক্ষতিকর৷ এজন্য একটি ভালো স্ট্যাবিলাইজার থাকাটা জরুরি৷ তবে তারচেয়েও আরেকটি বিষয় জরুরি সেটা হলো আর্দিং রাখা৷ খুব সহজেই ইলেকট্রিশিয়ান ডেকে আপনার কম্পিউটার লাইনটির আর্দিং আছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিতে পারে৷ আর্দিং না থাকার কারণে দেখা যায় অনেক সময় কোনো কোনো হার্ডওয়্যার সমস্যা হতে পারে, হার্ডডিস্ক বা মাদারবোর্ড ক্ষতিগ্রস্থও হতে পারে৷ প্রধান পাওয়া সোসর্সে ভালো সার্কিট ব্রেকার রাখুন যা অধিক ভোল্টেজ থেকে আপনার পিসি ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ রক্ষা করবে৷ সার্কিট ব্রেকারের তার যেন বেশি মোটা (বা বেশি সরু)না হয় যেটা অনেক ক্ষেত্রেই হয়ে থাকে যার ফলে বিদু্যত্ খুব বেশি বেড়ে গেলে সঠিকভাবে কাজ করে না৷
0 comments:
Post a Comment